টেঙ্গরী রাজার দিঘী। স্থানীয় ভাষায় টেংরা রাজার দিঘী ।দিঘী এখন আর দিঘীর মূল অবয়বে নেই ।
কালের বিবর্তনে হারিয়ে ফেলেছে তার আসল রুপ সৌন্দর্য । দিঘী এখন শুধু নাম সর্বস্ব ঘন জঙ্গলাকীর্ন এক কর্দমাক্ত জলাভুমি ।প্রাচীন কালের টেঙ্গরী রাজ্যের রাজধানী ছিল বড়দেশ-ঘুঙ্গাদিয়া গ্রাম ।রাজার বাড়ী ছিল বড়দেশ গ্রামে ।বাড়ীটি বর্তমানে নয়াবাড়ী নামে পরিচিত ।রাজার বাড়ীর উত্তর অবর্তে বিরাট দিঘী ।রাজা খনন করিয়েছিলেন প্রজা সাধারনের কল্যানার্থে ।আয়তন পঞ্চাশ একরেরও উপর । দিঘীর দক্ষিন পাড়ে শান বাধানো দুই খানা ঘাট । ছোট্ট শান ঘাট ও বড় শান ঘাট ।ঘাট দুই খানার আজ আর কোন অস্থিত্ব নেই, বিলীন হয়ে গেছে কালের করাল গ্রাসে ।
টেঙ্গরী বা টেংরা রাজার দিঘী বিষয়ক অনেক কিংবদন্তী প্রচলিত আছে স্থানীয়দের মুখে মুখে ।শ্রেষ্ঠতম কিংবদন্তী টি হলো- রাজ্যের যে কারোর বাড়ীর বিবাহ, পুজা-পার্বন, উৎসব ইত্যাদিতে ।ব্যবহারের প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র চাইলেই পাওয়া যেত দিঘী থেকে । তৈজসপত্রের সকলই সোনার তৈরী ।
উৎসবের আগের দিন সাঝের বেলা পান সুপারী বাটা সাজিয়ে তৈজসপত্রের একখানা তালিকা দিঘীর ঘাটে রেখে দিলেই পরের দিন প্রত্যেষ তালিকা বর্নিত সকল সোনার তৈজসপত্র শান বাধানো ঘাটের উপর উঠে আসতো মানুষ কাজ শেষে উত্তম রুপে ধূয়ে ঘাটের উপর রেখে দিত এবং তা দিঘীর গভীরে চলে যেত ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS